অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি, উচ্চ মূল্যস্ফিতি, ইউরোপের সঙ্গে দুঃসহ প্রতিযোগীতা এবং সাপ্লাই-চেন সিস্টেমের ঘাটতির কারণে আলীবাবার মালিকানাধীন দারাজে কর্মীছাঁটাই শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে দারাজের ব্যবসা আছে। পাকিস্তানভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজকে ২০১৮ সালে কিনে নেয় আলীবাবা। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশে দারাজের অপারেশন অনেকগুণ বড় করা হয়েছে, বিনিয়োগ করা হয়েছে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। যেমন- ২০১৮ সালে দারাজ বাংলাদেশে কর্মীসংখ্যা ছিল মাত্র ২০০, কিন্তু ২০২২ সালের শেষদিকে এসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০০ এরও বেশি, যাদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ছিল স্থায়ী কর্মী।
কিন্তু বর্তমান দুরবস্থার কারণে দারাজ তাদের ১১ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। দারাজ বাংলাদেশেও কর্মীছাঁটাই শুরু হয়েছে। ১০০০ স্থায়ী কর্মীর মধ্য অন্তত ৫০ জনকে ইতিমধ্যে ছাঁটাই করা হয়েছে।
দারাজ বাংলাদেশে ’বিজনেস টু বিজনেস ই-কমার্স উইং’ টিম থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী ছাঁটােই হয়েছে। এই টিমের ৮০ শতাংশ কর্মীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে মার্কেটিং টিম থেকেও কর্মীছাঁটাই হয়েছে।
গতবছরের জুলাইতে দারাজ বাংলাদেশের ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ‘হাংরিনাকিৎর অপারেশনও অনেকখানি ছোট করে ফেলা হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠার পর দারাজ বর্তমানে অন্যতম চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। তবে বাংলাদেশের বাজার নিয়ে আলীবাবাকে আত্নবিশ্বাসী মনে হয়েছে। গত বছর আলীবাবা দারাজ বাংলাদেশে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল।
ইভ্যালি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট এমনিতেই অনেক দুঃসময় পার করছে। দারাজ বাংলাদেশ কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে বলে আপনার মনে হয়?