রেমিট্যান্সে সরকারের দেয়া ২ শতাংশ প্রণোদনার সুবিধা অবৈধভাবে ধনীরা নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ। সদ্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গতকাল রাজধানীর সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (সিরডাপ) মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় দেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, জ্বালানি, নিরাপত্তাসহ ১২টি খাতের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় ও বাস্তবায়নে নজরদারির তাগিদ জানান খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, খাদ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়াতে হবে। শুধু নামমাত্র বরাদ্দ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করলে পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে সময়োপযোগী পরিবর্তন সম্ভব হবে না। এছাড়া নারীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, তরুণদের উৎসাহিত ও দক্ষতা বৃদ্ধি, শ্রমিকদের সুবিধা প্রদান, কর ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে জাতীয় অগ্রগতি থমকে পড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ বলেন, ‘সব জায়গায় এখনি ভর্তুকি কমানোর সময় হয়নি। যেখানে দুর্নীতির কারণে সিস্টেম লস হচ্ছে, সেখানে ভর্তুকি দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু সার, জ্বালানি, খাদ্যপণ্যের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ টাকা করে প্রণোদনা দিচ্ছেন। এ সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে এখানকার ধনীরা। দেশ থেকে টাকা পাচার করে আবার তা রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আনছে, লাভবান হচ্ছে তারাই। ফলে পুরো প্রক্রিয়া একটা চক্রের মধ্যে পড়ে গেছে। দেখা গেল, ২ টাকা প্রণোদনা দেয়ার পর আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আসা শুরু হলো। অথচ এর আগে রেমিট্যান্স আসত সৌদি আরব থেকে।’