বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে একাধিক দর একটিতে নিয়ে আসার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রপ্তানি আয়ে ডলারের দর বাড়ল এক টাকা।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানি আয়ে ডলারের বিনিময় হার হবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত ১ জুলাই থেকে ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা।
সোমবার রাতে এক অনলাইন বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।
ব্র্যাংক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এবিবি চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, “ডলারের বিনিময় হার রপ্তানি আয়ে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং রেমিটেন্সে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের মধ্যে ডলারের দরের ব্যবধান কমে ৫০ পয়সা হল।”
রেমিটেন্সে ডলারের দর ৫০ বাড়ানোয় মঙ্গলবার থেকে নতুন দর হবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সার বদলে ১০৯ টাকা।
এর আগে রপ্তানি আয়ে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দর ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা কার্যকর হয় গত ১ জুলাই। ওই সময়ে রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ডলারের দরের মধ্যে ব্যবধান কমে এক টাকা হয়েছিল।
গত ১ জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে ডলারের দর বাড়ানো হলেও রেমিটেন্সে আগের দর ১০৮ টাকা ৫০ পয়সাই রেখেছিল সংগঠন দুটি।
বিনিমর হার একক দরে নিয়ে আসার পরামর্শ রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের। ২ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া মুদ্রানীতিতেও বলা হয়েছে, বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হবে ধীরে ধীরে।
ডলারের বিপরীতে টাকার অন্যান্য দর আগের মতোই থাকবে। এতে আমদানি দায় পরিশোধে গ্রাহকের কাছ থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ওয়েটেড গড়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক শতাংশ অতিরিক্ত নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংকে ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৯ টাকা দরে। আর নগদেও ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৯, যা বাফেদা ও এবিবি ঠিক করে দিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাস্তবায়ন শুরু করে বাফেদা ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি। এখনও আমদানি, রপ্তানি, রেমিটেন্স ও নগদ বিক্রি ডলার বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন দরে। তবে ব্যবধান কমে আসছে।