২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত আমেরিকা (উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা) অঞ্চলে ফিনটেক স্টার্টআপের সংখ্যা ছিল ১১,৬৫১টি, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। আমেরিকা অঞ্চলকে তাই খুব সহজেই বিশ্বের ফিনটেক হাব বলা যায়। অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ইএমইএ (ইউরোপ, মিডল ইস্ট ও আফ্রিকা) অঞ্চলে মোট ফিনটেকের পরিমাণ ৯,৬৮১টি আর এশিয়া প্যাসিফিক বা অ্যাপেক অঞ্চলে এই সংখ্যা ৫,০৬১টি।
একক রাষ্ট্র হিসেবে ফিনটেক ইউনিকর্নের (যেসব কোম্পানির ভ্যালুয়েশন ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি) সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৩ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে এই ধরনের কোম্পানির পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ৫ গুণ কম।
গত এক দশকে ফিনটেক খাতে বিনিয়োগ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক বিনিয়োগ সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে ২০২২ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, বিশেষ করে আমেরিকা অঞ্চলে বিনিয়োগের পড়তির হার ছিল বেশি। বিনিয়োগ কমে যাওয়ার মূল কারণ অর্থনৈতিক সংকোচন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিনটেক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন সেবা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। সর্বমহলে ফিনটেকের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাও বাড়ছে। ফলে প্রতিনিয়ত এই ধরনের কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। ফিনটেকে নতুন বেশিরভাগ কোম্পানিই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে আবির্ভুত হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দশটি ফিনটেক কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগ এই দুটি দেশেই জন্ম নিয়েছে। তবে ফিনটেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আধিপত্য সত্বেও ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ভ্যালুয়েবল ফিনটেক কোম্পানি ছিল আইরিশ কোম্পানি স্ট্রাইপ।
২০২২ সালের তথ্য অনুসারে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি ফিনটেক কোম্পানি হলো যথাক্রমে- ভিসা, মাস্টারকার্ড, টেনসেন্ট, অ্যান্ট ফাইনান্সিয়াল, ইনটুইট, পেপ্যাল, ফাইসার্ভ, স্ট্রাইপ, অ্যাডিয়েন ও নুব্যাংক।